Back to Posts

” আমদের প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা ” শীর্ষক সেমিনার

প্রেস রিলিজঃ ১৭ ডিসেম্বর, ২০২১।

বাহরাইনে এবি পার্টি বাহরাইন শাখার উদ্যেগে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ” আমদের প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা ” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।১৭ ডিসেম্বর, ২০২১ শুক্রবার দেশটির রাজধানী মানামা আলোসরা রেস্টুরেন্টের পার্টি হলে এবি পার্টি’র কেন্দ্রীয় সদস্য ও বাহরাইন শাখার আহ্বায়ক ড. ইঞ্জি. এম. শাহেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম বাহরাইনের সভাপতি জনাব আবুল কালাম আজাদ, গেস্ট অব অনার বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার কমিউনিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জনাব তাজউদ্দীন সিকান্দার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল ল’ সেন্টার বাহরাইনের ল’য়ার কনসালটেন্ট মো. জসিম উদ্দিন, ইঞ্জি. তরুন কান্তি বিশ্বাস, চীফ ইঞ্জিয়ার কোহেজি কন্ট্রাকটর বাহরাইন, মোঃ কামাল হোসেন, অফিসার বিএফসি, বাহরাইন। আরও উপস্থিত ছিলেন, মোঃ ওবায়দুর রহমান রাশেদ যুগ্ম সদস্য সচিব, এএইচ এম সুমন মজুমদার যুগ্ম সদস্য সচিব, আব্দুল কাইয়ুম, মোঃ শাহাব উদ্দিন, ইকবাল হোসেন, তুসিন, মোহাম্মদ জামাল, মোহাম্মদ সোহেল প্রমুখ ও দলের বিভিন্ন শাখার নেতা কর্মীরা। সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব আবুল কালাম আজাদ বলেন এবি পার্টি যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আপনার সে লক্ষ্যে কাজ করবেন এবং কোন কিছু না বুজলে ড. শাহেদ সাহেবের নিকট থেকে বুঝে নিবেন। সবাই মিলেমিশে দলকে সমৃদ্ধ করবেন যাতে বাংলাদেশের স্বপ্ন ও প্রত্যাশা পূর্ণ হয়। সভাপতির বক্তব্যে ড. শাহেদ, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদের স্মরন করেন ও তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন। তিনি বলেন স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সারা দিয়ে দেশের আপামর জনতা সেদিন মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল এবং একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত করেছিল। তিনি আবারও স্মরন করেন আমি যদি তাদেরকে স্মরন না করি তাহলে আজকের সেমিনার পূর্নতা লাভ করবে না এবং স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতি করা হবে, তাই তিনি একে একে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মাওলান আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরন করেন। ড. শাহেদ বলেন আমি একটা উদাহরন দিয়ে আপনাদেরকে বিষটি পরিষ্কার করতে চাই। বাংলাদেশে যেসকল প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় গুলো রয়েছে তার মধ্যে বুয়েট, ডুয়েট, চুয়েট, কুয়েট, রুয়েট অন্যতম। কিন্তু তাদের মধ্যে যে প্রতিযোগিতা হয় তা হলো মেধা ও কোয়ালিটির। তাদের পড়াশোনার মান, রেজাল্ট, রিসার্চ অর্টিক্যাল, সিম্পোজিয়াম, সেমিনার, সাইন্স ফেয়ার, চাকুরির অবস্থান ও কর্মদক্ষতা ইত্যাদি দিয়ে র‌্যাঙ্কিং করা হয়। তারা কিন্তু এর জন্য একে অপরের সাথে মারামারি, জালাও পোড়াও, হরতাল ধর্মঘট কিংবা মিছিল মিটিং করে না। তারা যা করে তা হল স্নায়ু যুদ্ধ বা মেধার যুদ্ধ। অনুরূপভাবে সকল মেডিক্যাল কলেজ ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলো তাদের মেধা ও কোয়ালিটি দিয়ে নিজেরদের অবস্থান জানান দেয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরেও আমরা রাজনীতিবিদগণ গনতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রুপ ও জাতীয় ঐক্য তৈরি করতে পারিনি। তাই তিনি দলমত নির্বিশেষে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। সাম্য মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার এই তিন মূলনীতির ভিত্তিতে একটি ওয়েলফেয়ার স্টেট তৈরি করাই হচ্ছে আমার বাংলাদেশ পার্টির মূল লক্ষ্য। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তারা বলেন এবি পার্টি বাংলাদেশের সকল অপূর্ণ আশা আকাঙ্খা পূর্ণ করবে, গনতন্ত্র এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। সবাইকে এবি পার্টি সাথে কাজ করার উদাত্ত আহ্বান জানান এবং আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানের শেষে গীটার বাজিয়ে দেশাত্মবোধক সঙ্গীত পরিবেশন করেন তুসিন।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to Posts